১. বিক্রিয়ার এনথালপি পরিবর্তন
রসায়নীয় বিক্রিয়ার সময় তাপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে বিক্রিয়ার এনথালপি পরিবর্তন বলে। এটি সাধারণত বিক্রিয়া শোষণকারী বা নির্গতকারী তাপের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।
২. গঠনের এনথালপি পরিবর্তন
যখন একটি যৌগ তার উপাদান মৌলসমূহ থেকে গঠিত হয়, তখন নির্গত বা শোষিত তাপকে গঠনের এনথালপি বলে। এটি সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড অবস্থা অনুযায়ী গণনা করা হয়।
৩. জ্বলনের এনথালপি পরিবর্তন
কোনো পদার্থ সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বলে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইডে রূপান্তরিত হওয়ার সময় নির্গত তাপকে জ্বলনের এনথালপি বলে। এটি মূলত শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. দ্রবণের এনথালপি পরিবর্তন
যখন একটি দ্রব্য কোনো তরল দ্রাবকের মধ্যে দ্রবীভূত হয়, তখন নির্গত বা শোষিত তাপকে দ্রবণের এনথালপি বলে। এটি বিভিন্ন পদার্থের দ্রবণে প্রভাব ফেলে।
৫. বাষ্পীভবনের এনথালপি পরিবর্তন
কোনো তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় যে তাপ শোষণ করা হয়, তাকে বাষ্পীভবনের এনথালপি বলে। এটি একটি প্রক্রিয়ার পর্যায় পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৬. গলনের এনথালপি পরিবর্তন
কোনো কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হওয়ার সময় শোষিত তাপকে গলনের এনথালপি বলে। এটি পদার্থের গলনাঙ্কের উপর নির্ভর করে।
৭. প্রাথমিক ও প্রান্তিক এনথালপি পরিবর্তন
এই পরিবর্তন সাধারণত একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার শুরু এবং শেষের মধ্যে তাপের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
৮. প্রতিস্থাপনের এনথালপি পরিবর্তন
একটি যৌগের এক বা একাধিক উপাদান প্রতিস্থাপিত হওয়ার সময় নির্গত বা শোষিত তাপকে প্রতিস্থাপনের এনথালপি বলা হয়।
৯. সমাপনের এনথালপি পরিবর্তন
যে তাপের কারণে একটি নির্দিষ্ট বিক্রিয়া সমাপ্ত হয়, সেটি হলো সমাপনের এনথালপি। এটি সাধারণত শক্তি চাহিদার বিষয়টি নির্ধারণে সহায়ক।